জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের বিভিন্ন ধারা নিয়ে সেসব অস্পষ্টতা আছে, সেগুলো দ্রুত সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক কোয়ালিশন।  

আজ মঙ্গলবার নাগরিক কোয়ালিশনের কার্যালয়ে 'জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ নাগরিক প্রত্যাশা ও জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এ আহ্বান জানানো হয়।

নাগরিক কোয়ালিশন ও ভয়েস ফর রিফর্মের সহসমন্বয়ক ফাহিম মাশরুরের সঞ্চালনায় এতে অংশ নেন বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, জামায়াত ইসলামীর  শিশির মনির, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, এবি পার্টির সভাপতি মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের সাকিব আনোয়ার, রাষ্ট্র সংস্কার পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাসিব আল হোসেন, আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী নাঈম আহমেদ, ব্রেইনের নির্বাহী পরিচালক ড. শফিক প্রমুখ।  

গোলটেবিল আলোচনায় শামা ওবায়েদ ও জোনায়েদ সাকি বলেন, ঐকমত্য কমিশন 'নোট অব ডিসেন্ট' বাদ দিয়ে যে তালিকা গণভোটের জন্য দিয়েছে। এতে অনাস্থা তৈরি হয়েছে। 

শিশির মনির বলেন, ঐকমত্য কমিশনের বিরুদ্ধে যে প্রতারণার অভিযোগ করা হয়েছে, সেটা অযৌক্তিক। 

এনসিপির খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, নোট অব ডিসেন্ট সব দলের আছে। তারপরেও গণভোট নোট অব ডিসেন্ট নিয়ে করার কোনো অর্থ নেই। গণভোটের মাধ্যমে জনগণকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সংস্কারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য। 

আপ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দুটি ব্যালট দিয়ে গণভোটের প্রস্তাব করা হয়। একটি ব্যালটে ঐকমত্যের বিষয়গুলো থাকবে, অন্যটিতে যেগুলোতে নোট অব ডিসেন্ট আছে সেগুলো। এতে জনগণ সঠিকভাবে গণভোটে নিজেদের মত প্রকাশ করার সুযোগ পাবে। 

আলোচনায় নাগরিক কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় প্রস্তাব অনুযায়ী, নির্বাচনে জয়ী নতুন সংবিধান সভার সদস্যদের আপত্তিকর বিষয়গুলো নিজেদের মতো করে বাস্তবায়নের স্বাধীনতা থাকবে। যেহেতু দ্বিতীয় প্রস্তাব অনুযায়ী, ২৭০ দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তফসিল সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে না, তাই এই প্রস্তাব নিয়ে কোনো দলের আপত্তি থাকা উচিত নয়।

নাগরিক কোয়ালিশন নতুন সংবিধান সংশোধন পরিষদে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা (৫০ দশমিক ১ শতাংশ) দিয়ে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে। যেন কোনো একক দল সহজে একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে না পারে। এছাড়া তারা প্রস্তাব করেছে, খসড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের যেসব ধারা অস্পষ্ট, সেগুলোর বিষয়ে সরকার পক্ষ থেকে যেন দ্রুত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। যেন সবাই একমত হতে পারেন।