পঞ্চদশ সংশোধনী: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল এবং সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সম্পূর্ণ বাতিলের আবেদন করার অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত ছয় সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনকারীদের দায়ের করা তিনটি পৃথক লিভ টু আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।রিট আবেদনকারীরা হলেন- বদিউল আলম মজুমদার, এম হাফিজউদ্দিন খান, এম জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান; জামায়াতে ইসলামী এবং মুক্ত...
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল এবং সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সম্পূর্ণ বাতিলের আবেদন করার অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত ছয় সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনকারীদের দায়ের করা তিনটি পৃথক লিভ টু আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারীরা হলেন- বদিউল আলম মজুমদার, এম হাফিজউদ্দিন খান, এম জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান; জামায়াতে ইসলামী এবং মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল ইসলাম।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তাদের আপিল বিভাগে আপিল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আজকের শুনানিতে চার নাগরিকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া ও ব্যারিস্টার রেদোয়ানুল করিম উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। মোফাজ্জল ইসলামের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
লিভ টু আপিল আবেদনে রিট আবেদনকারীরা সংবিধানের পুরো ১৫তম সংশোধনী বাতিলের আবেদন জানান। এই সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয় এবং সংবিধানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়।
তাদের আবেদনে তারা যুক্তি দেন যে, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে কোনো গণভোট অনুষ্ঠিত না হওয়ায় হাইকোর্ট সম্পূর্ণ সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা না করে আইনগতভাবে ভুল করেছেন।
'পঞ্চদশ সংশোধনী আইনকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল ঘোষণা না করার জন্য বিতর্কিত রায় বাতিল করা যেতে পারে', বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।