গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ । আগামী ১৭ নভেম্বর এই রায় ঘোষণা করা হবে।

এর মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের সময় ঘটা অপরাধের প্রথম বিচারের রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে। এই মামলায় আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হন, যা ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর এ ধরনের প্রথম ঘটনা।

গণঅভ্যুত্থানের পর ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ জমা পড়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায়। সংস্থাটি অভিযোগের তদন্ত শুরু করে। তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১২ মে তদন্ত সংস্থা প্রধান প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়।

এর ভিত্তিতে ১ জুন ট্রাইব্যুনালে হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ওই দিনই ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নেন। এরপর ১০ জুলাই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ৪ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী খোকন চন্দ্র বর্মণের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।

এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ মোট ৮১ জনকে সাক্ষী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। তাদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ৫৪ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের দাখিল করা অভিযোগপত্রটি ছিল ১৩৫ পৃষ্ঠার। এর সঙ্গে ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার বিভিন্ন নথি ও তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়া হয়। মামলার বিচার চলাকালে আবদুল্লাহ আল-মামুন কারাগারে থাকলেও বাকি দুই আসামি পলাতক।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জানে আলম খান ও মো. আলমগীর।

যে ৫ অভিযোগে বিচার

হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, নির্যাতন, ষড়যন্ত্র, উসকানি ও ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়—এই পাঁচটি অভিযোগে বিচার হয়েছে। অভিযোগগুলো হলো: