গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। জোট করলেও ভোটে অংশ নিতে হবে নিজ দলের প্রতীকে- এমন বিধান অধ্যাদেশে রাখা হয়েছে।

গতকাল সোমবার এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়। গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

এ নিয়ে বিরোধিতা করেছিল বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ আইন উপদেষ্টা বরাবর চিঠিও দিয়েছিলেন।

তবে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এই সংশোধনের পক্ষে অবস্থান নেয় এবং সংশোধনী প্রত্যাহারের আলোচনা উঠলে এর কঠোর বিরোধিতা করে।

আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারির মধ্যে নির্বাচনী আইনের সব ধরনের সংস্কার কাজ শেষ হলো। 

এরইমধ্যে ভোটার তালিকা আইন সংশোধন, নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ বিধান আইন সংশোধন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন সংশোধন, ভোটকেন্দ্র নীতিমালা, দেশি-বিদেশি পযবেক্ষণ নীতিমালা, সাংবাদিক নীতিমালাসহ সব ধরনের আইন-বিধি সংস্কার করেছে ইসি। 

আরপিও সংশোধন হওয়ায় এর আলোকে দ্রুত দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা জারি করবে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।

আরপিওর ২০ অনুচ্ছেদ (প্রতীক বরাদ্দ) সংশোধন করে একটি বিধান যোগ করা হয়েছে, যা জোটবদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলোর একক প্রতীক বরাদ্দের সুযোগকে আরও স্পষ্ট ও বিস্তৃত করল।