গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও এর আশপাশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করতে পারেন। হাসিনা ছাড়া বাকি দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। 

ট্রাইব্যুনালের আশপাশে সকাল থেকেই সেনাবাহিনীর টহলদলের অবস্থান রয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। বিজিবি ও ডিএমপির সাঁজোয়া যানও রয়েছে সেখানে। 

দিনটি ঘিরে 'ঢাকা লকডাউন' কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ডিএমপির ১৭ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরাও থাকছেন।

আজ সকালে ঢাকার সড়কে যানবাহন চললেও গণপরিবহনের সংখ্যা কম। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উত্তরা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত পথে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে দেখা যায়। অন্যান্য বাহিনীও টহল কার্যক্রম চালাচ্ছে।

এদিকে গতকাল বুধবার থেকেই রাজধানীর প্রবেশপথগুলোয় বিভিন্ন চেকপোস্টে গণপরিবহন আর সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আজও তল্লাশি চলছে।  

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার তালেবুর রহমান জানান, যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন।