চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস আমদানি নিষিদ্ধ প্রায় ২৫ টন পপি বীজ জব্দ করেছে।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা সম্প্রতি বন্দরে আসা দুটি কনটেইনারে তল্লাশি চালিয়ে এসব পপি বীজ জব্দ করে।

আমদানি নথির তথ্য অনুযায়ী, মেসার্স আদিব ট্রেডিং নামে চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান থেকে 'বার্ড ফুড' বা পাখির খাবার ঘোষণায় এসব পণ্য আমদানি করে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে খালাসের দায়িত্বে ছিলেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এম এইচ ট্রেডিং কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লি.।

চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আসা চালানটি গত ১৪ অক্টোবর ৩২ টন 'বার্ড ফুড' হিসেবে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়।

পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এআইআর শাখা চালানটির খালাস স্থগিত করে এবং ২২ অক্টোবর ডিপো কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে কায়িক পরীক্ষা চালায়।

পরীক্ষায় দেখা যায়, কনটেইনারে সামনের দিকে ৭ টন বার্ড ফুড রেখে পেছনের অংশে কৌশলে লুকিয়ে রাখা হয়েছে ২৫ টন পপি বীজ।

পণ্য দুটির নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম বন্দরস্থ উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টার এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তর এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদনে চালানটিতে পপি বীজের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।

কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার এইচ এম কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পপি বীজ যদি অঙ্কুরোদগমযোগ্য হয়, তাহলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুসারে ক শ্রেণির মাদক হিসেবে গণ্য হয়। তাছাড়া, আমদানি নীতি আদেশ ২০২১–২০২৪ অনুযায়ী পপি বীজ আমদানি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।'

এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'ঘোষণাপত্রে পণ্যের মূল্য দেখানো হয়েছিল ৩০ লাখ ২ হাজার ৪৮২ টাকা। কিন্তু জব্দকৃত পণ্যগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।'