আপনারা স্ব স্ব কাজে ফিরে যান, বাংলাদেশের মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে দেন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশে অনুরোধ জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, 'আমি অনুরোধ করছি, আপনারা স্ব স্ব কাজে ফিরে যান। বাংলাদেশের মানুষকে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দেন।'তিনি আরও বলেন, 'ঐকমত্যের কিছু লোকজন, তাদেরও আবার মতামত আছে, রাজনীতিবিদদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে তারা তাদেরটা চাপাতে চাচ্ছে। আবার ঐকমত্য কমিশনেরও একটা মতামত আছে, ঐকমত্য কমিশনকে তো মতামতের জন্য সেখানে রাখা হয় নাই। তাদেরকে রাধা হয়েছে জাতীয় ঐকমত্য করার জন্য।''এখন তাদেরও আবার একটা মতামত আছে। আবার ওটা আপনাক...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশে অনুরোধ জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, 'আমি অনুরোধ করছি, আপনারা স্ব স্ব কাজে ফিরে যান। বাংলাদেশের মানুষকে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দেন।'
তিনি আরও বলেন, 'ঐকমত্যের কিছু লোকজন, তাদেরও আবার মতামত আছে, রাজনীতিবিদদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে তারা তাদেরটা চাপাতে চাচ্ছে। আবার ঐকমত্য কমিশনেরও একটা মতামত আছে, ঐকমত্য কমিশনকে তো মতামতের জন্য সেখানে রাখা হয় নাই। তাদেরকে রাধা হয়েছে জাতীয় ঐকমত্য করার জন্য।'
'এখন তাদেরও আবার একটা মতামত আছে। আবার ওটা আপনাকে মানতে হবে। ঐকমত্য কমিশনে যারা আছেন—যারা আপনাদের কথা, আপনাদের দাবি রাজনীতিবিদদের ওপর চাপাতে চান, জনগণের ওপর চাপাতে চান, তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা যে যে কাজ করতেন আগে, ওই জায়গায় ফিরে যান। বাংলাদেশের মানুষকে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দিতে দেন। বাংলাদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে তাদের সিদ্ধান্ত দেবে, যেসব দল তাদের দাবি-দাওয়া মেটাতে চায়, তাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের মতামত নিতে হবে, জনগণের ম্যানডেট নিতে হবে,' যোগ করেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মতামত চাপিয়ে দেওয়া চলবে না উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, 'ঐকমত্যের যারা তাদের মতামত বাংলাদেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়, রাজনৈতিক দলের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়—এই দায়িত্ব তাদেরকে কেউ দেয় নাই।'
ব্যবসায়ীদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই নির্বাচনকে যারা ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়, বিলম্বিত করতে চায়, প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, নিজেদের স্বার্থের জন্য ব্যবসায়ীদের সোচ্চার হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, 'যারা আজকে নিজেদের সুবিধার জন্য বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করছে, জনগণের অধিকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে, রাজনৈতিক-সাংবিধানিক-গণতান্ত্রিক অধিকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তাদের প্রতি মেসেজ দিতে হবে, এই ষড়যন্ত্র বাংলাদেশে চলবে না। নির্বাচন হতে হবে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে, নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে নির্বাচিত সংসদ-সরকার হবে, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, ব্যবসায়ীদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে এবং তার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অর্ডার বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। যার জন্য ১৭ বছর বাংলাদেশের মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছে।'