নারায়ণগঞ্জে কারখানার গ্যাস মিটার রুমে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক শিল্পাঞ্চলের দুটি পোশাক কারখানার যৌথ 'গ্যাস মিটার রুমে' বিস্ফোরণের পর আগুনে অন্তত ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। তারা বর্তমানে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের বিসিক স্টেশনের স্টেশন অফিসার আব্দুল হালিম।তিনি বলেন, বিসিক শিল্পাঞ্চলের এমএস ডাইং, প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং লিমিটেড এবং ফেয়ার অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানা ভবনের মাঝখানে অবস...
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক শিল্পাঞ্চলের দুটি পোশাক কারখানার যৌথ 'গ্যাস মিটার রুমে' বিস্ফোরণের পর আগুনে অন্তত ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। তারা বর্তমানে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের বিসিক স্টেশনের স্টেশন অফিসার আব্দুল হালিম।
তিনি বলেন, বিসিক শিল্পাঞ্চলের এমএস ডাইং, প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং লিমিটেড এবং ফেয়ার অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানা ভবনের মাঝখানে অবস্থিত যৌথ মিটার রুমে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে এমএস ডাইং ও প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং লিমিটেডের মেইনটেইনেন্স বিভাগের পাঁচজন এবং ফেয়ার অ্যাপারেলসের নিয়োগ করা একজন নির্মাণশ্রমিক রয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা হালিম বলেন, ঘটনাটি সকাল ৯টার আগে ঘটলেও ফায়ার সার্ভিস খবর পায় বেলা ১১টার দিকে। পরে তাদের একটি দল ঘটনাস্থলে প্রাথমিক তদন্ত চালায়।
'একতলা বিশিষ্ট গ্যাসের মিটার রুমটি বড় করার কাজ চলছিল। সকালে ছাদের রড কাটার জন্য হ্যান্ড গ্রাইন্ডিং মেশিন চালানো হয়। ধারণা করছি, যেহেতু মিটার রুম, সেখানে হয়তো পাইপলাইনে গ্যাস জমা ছিল, রড কাটার সময় স্পার্ক থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে,' যোগ করেন তিনি।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, বেলা ১১টার দিকে দগ্ধ ছয়জনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তারা হলেন মো. আল-আমিন (৩০), মো. আজিজুল্লাহ (৩২), মো. সেলিম (৩৫), মো. জালাল মোল্লা (৪০), মো. নাজমুল হুদা (৩৫) ও নূর মোহাম্মদ (৩৫)।
তিনি আরও বলেন, তাদের মধ্যে নাজমুলের শরীরের ২৮ শতাংশ, জালালের ১৪ শতাংশ, আজিজের ৯ শতাংশ, সেলিমের ১০ শতাংশ, আল-আমিনের ১৭ শতাংশ ও নূর মোহাম্মদের শরীরের ২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। নাজমুল ও আল-আমিনকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে।
ফেয়ার অ্যাপারেলস লিমিটেডের স্টোর ইনচার্জ হাসানুর রহমান বলেন, 'গত তিনদিন ধরে তিতাস গ্যাস কোম্পানি অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নিয়োগ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাস লাইনের কাজ করেছে। প্রধান লাইনে গ্যাসের চাপ বাড়ানোর জন্য পুরাতন লাইন কেটে নতুন সংযোগের কাজ চলছে। এছাড়া মিটার রুমটি বড় করার পরিকল্পনা রয়েছে।'
অপর কারখানাটির ডিজিএম (মেইনটেইনেন্স) নাসির উদ্দিন বলেন, 'মূলত ফেয়ার অ্যাপারেলস তাদের মিটার রুমটি বড় করার পরিকল্পনা করেছিল। সেজন্য তারা গ্যাসের লাইনের কাজ করিয়েছে এবং ছাদ ভাঙার কাজের সময় এ ঘটনাটি ঘটে।'
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমাদের মিটার রুমটিও যেহেতু পাশাপাশি, তাদের কাজ শেষ করার পর আমাদেরটা শুরু করার কথা ছিল।'
তবে তিনি দাবি করেন, দগ্ধরা তাদের কারখানার শ্রমিক নন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণশ্রমিক।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, খবর পেয়ে বিসিকে পুলিশের এক টিম পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।