মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের ভাঙন থেকে গ্রাম রক্ষার দাবি
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের রোমজাইপুর গ্রামের তিন দিক দিয়ে বয়ে গেছে আন্তর্জাতিক নৌপথ মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল। চ্যানেলে ক্রমাগত ভাঙনের ফলে গ্রামটি এখন বিলীন হওয়ার পথে।গত কয়েক বছরে ভাঙনের ফলে এই গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর, বিস্তীর্ণ কৃষিজমি বিলীন হয়ে গেছে। সম্প্রতি, এই চ্যানেলে আবার ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে পেরিখালী ইউনিয়ন পরিষদ-রোমজাইপুর সড়কের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হুমকির মুখে পড়ে পড়েছে ফসলি জমি।একই সঙ্গে গ্রামজুড়ে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নেই কোনো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কে...
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের রোমজাইপুর গ্রামের তিন দিক দিয়ে বয়ে গেছে আন্তর্জাতিক নৌপথ মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল। চ্যানেলে ক্রমাগত ভাঙনের ফলে গ্রামটি এখন বিলীন হওয়ার পথে।
গত কয়েক বছরে ভাঙনের ফলে এই গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর, বিস্তীর্ণ কৃষিজমি বিলীন হয়ে গেছে। সম্প্রতি, এই চ্যানেলে আবার ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে পেরিখালী ইউনিয়ন পরিষদ-রোমজাইপুর সড়কের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হুমকির মুখে পড়ে পড়েছে ফসলি জমি।
একই সঙ্গে গ্রামজুড়ে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নেই কোনো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ফলে জলোচ্ছ্বাস বা ঘূর্ণিঝড়ের সময় গ্রামবাসীকে জীবনবাজি রেখে ঘরে অবস্থান করতে হয়। গ্রামের একমাত্র ইটের সড়কটির কিছু অংশও নদীতে ধসে পড়েছে।
ভাঙন রোধ, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের দাবিতে গতকাল বুধবার দাউদখালী নদীর তীরে এক গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর আয়োজন করে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ ও স্থানীয় এনজিও 'বন্ধন মানব উন্নয়ন সংস্থা'।
গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না ফেরদৌসি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত মল্লিক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিরাজ মোল্লা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, তাদের ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো গ্রামই নদীতে তলিয়ে যাবে। তারা একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না ফেরদৌসি বলেন, রোমজাইপুর গ্রাম রক্ষায় একটি ছোট প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য বড় আকারের উদ্যোগ প্রয়োজন। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।