মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে টাঙ্গাইলে ৭ দিনব্যাপী মেলা
মাওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষে চলছে সাত দিনব্যাপী 'ভাসানী মেলা'।১১ নভেম্বর শুরু হওয়া এই মেলায় প্রতিদিন ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ।বাহারি পণ্যের স্টলে সাজানো হয়েছে মেলাটি। আগত দর্শনার্থীদের কেউ অলঙ্কার কিনছেন, কেউ হাতে আঁকা নকশা করছেন, আবার কেউ কিনছেন প্রিয়জনদের জন্য উপহার। টাঙ্গাইলের বিখ্যাত পোড়াবাড়ির চমচম, জিলাপি ও অন্যান্য মিষ্টির দোকানও মেলায় দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করছে।এবার মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন স্টল স্থাপন ক...
মাওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষে চলছে সাত দিনব্যাপী 'ভাসানী মেলা'।
১১ নভেম্বর শুরু হওয়া এই মেলায় প্রতিদিন ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
বাহারি পণ্যের স্টলে সাজানো হয়েছে মেলাটি। আগত দর্শনার্থীদের কেউ অলঙ্কার কিনছেন, কেউ হাতে আঁকা নকশা করছেন, আবার কেউ কিনছেন প্রিয়জনদের জন্য উপহার। টাঙ্গাইলের বিখ্যাত পোড়াবাড়ির চমচম, জিলাপি ও অন্যান্য মিষ্টির দোকানও মেলায় দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করছে।
এবার মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন স্টল স্থাপন করেছেন। এসব স্টলে আচার, বার্গার, গরম ও ঠান্ডা কফি, পিৎজা, স্যান্ডউইচসহ নানা ধরনের খাবার বিক্রি হচ্ছে।
মেলায় সবার জন্য রয়েছে দোলনা, স্লাইড, নাগরদোলা, মিনি ড্রাগন ট্রেন, বাউন্সি ক্যাসেল, নৌকাসহ বিভিন্ন রাইড।
শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিজয়াঙ্গনে মাওলানা ভাসানীকে নিয়ে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীরও আয়োজন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, 'ভাসানী মেলায় আমাদের সকলেরই দারুণ সময় কেটেছে। আমরা চাই প্রতি বছর এই মেলাটি এভাবেই হোক। সারা দেশের সবাই ভাসানী মেলা সম্পর্কে জানতে পারে।'
এ ছাড়া, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দরবার হলে প্রতিদিন আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে।
মেলায় আসা দর্শনার্থী ফাতেমা আক্তার বলেন, 'এটি টাঙ্গাইলের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় মেলা। পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছি।'
তিনি বলেন, 'আমরা মেলা থেকে দুই ডজন কাচের চুড়ি, আমার ছোট ভাইয়ের জন্য একটি খেলনা বন্দুক কিনেছি। নাগরদোলায়ও চরেছি।'
'ভাসানী মেলা' ১৭ নভেম্বর শেষ হবে।