বান্দরবানের লামা উপজেলায় অবৈধ ইটভাটা নির্মাণ ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে বাধা দিয়েছেন ইটভাটা মালিকপক্ষের লোকজন ও কর্মচারীরা। এ সময় তারা কাফনের কাপড় পরে মানববন্ধন করেন। 

আজ রোববার উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী। 

তিনি বলেন, আজ পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তর থেকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজুয়ান উল ইসলামের নেতৃত্বে লামার ফাইতং ইউনিয়নে অবৈধ ইটভাটা ও পাহাড় কাটাসহ পরিবেশ ধ্বংসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে ইটভাটা মালিকপক্ষের লোকজন রাস্তা অবরোধ করে মানববন্ধন করেন।

রেজাউল করিম আরও বলেন, বাধা প্রদানকারীরা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা নন। তারা অবৈধ ইটভাটা ও পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের পালিত শ্রমিক ও বাহিনী। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন বলেন, অবৈধ ইটভাটা ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালাতে গেলে ইটভাটার মালিক-কর্মচারীরা মানববন্ধন করে বাধা দেন। খবর পেয়ে লামা উপজেলা থেকে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ফাইতং ইউনিয়নে অনুমোদন ছাড়াই ৩১ ইটভাটা চলছে। ২৫ ইটভাটার মালিকেরা পাহাড় কেটে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ফাইতং এলাকার একটি ইটভাটার মালিক মো. কবির আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, এলাকার ৩১ ইটভাটার মধ্যে এ বছর প্রায় ২৫টির কার্যক্রম চালু হয়। এর মধ্যে পাঁচ-ছয়টি ইটভাটার চুলায় আগুন দেওয়া শুরু হয়েছে।

ইটভাটাগুলোর সরকারি অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুমতি থাকলে তো প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালাতে আসতো না। এ ছাড়া ইটভাটার মালিকেরা বান্দরবানের স্থানীয় বাসিন্দা নন। তারা সবাই কক্সবাজার জেলার চকরিয়া ও লোহাগড়া বাসিন্দা।