লামায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান, কাফনের কাপড় পরে বাধা
বান্দরবানের লামা উপজেলায় অবৈধ ইটভাটা নির্মাণ ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে বাধা দিয়েছেন ইটভাটা মালিকপক্ষের লোকজন ও কর্মচারীরা। এ সময় তারা কাফনের কাপড় পরে মানববন্ধন করেন। আজ রোববার উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, আজ পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তর থেকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজুয়ান উল ইসলামের নেতৃত্বে লামার ফাইতং ইউনিয়ন...
বান্দরবানের লামা উপজেলায় অবৈধ ইটভাটা নির্মাণ ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে বাধা দিয়েছেন ইটভাটা মালিকপক্ষের লোকজন ও কর্মচারীরা। এ সময় তারা কাফনের কাপড় পরে মানববন্ধন করেন।
আজ রোববার উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, আজ পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তর থেকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজুয়ান উল ইসলামের নেতৃত্বে লামার ফাইতং ইউনিয়নে অবৈধ ইটভাটা ও পাহাড় কাটাসহ পরিবেশ ধ্বংসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে ইটভাটা মালিকপক্ষের লোকজন রাস্তা অবরোধ করে মানববন্ধন করেন।
রেজাউল করিম আরও বলেন, বাধা প্রদানকারীরা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা নন। তারা অবৈধ ইটভাটা ও পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের পালিত শ্রমিক ও বাহিনী। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন বলেন, অবৈধ ইটভাটা ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালাতে গেলে ইটভাটার মালিক-কর্মচারীরা মানববন্ধন করে বাধা দেন। খবর পেয়ে লামা উপজেলা থেকে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ফাইতং ইউনিয়নে অনুমোদন ছাড়াই ৩১ ইটভাটা চলছে। ২৫ ইটভাটার মালিকেরা পাহাড় কেটে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ফাইতং এলাকার একটি ইটভাটার মালিক মো. কবির আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, এলাকার ৩১ ইটভাটার মধ্যে এ বছর প্রায় ২৫টির কার্যক্রম চালু হয়। এর মধ্যে পাঁচ-ছয়টি ইটভাটার চুলায় আগুন দেওয়া শুরু হয়েছে।
ইটভাটাগুলোর সরকারি অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুমতি থাকলে তো প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালাতে আসতো না। এ ছাড়া ইটভাটার মালিকেরা বান্দরবানের স্থানীয় বাসিন্দা নন। তারা সবাই কক্সবাজার জেলার চকরিয়া ও লোহাগড়া বাসিন্দা।