কুষ্টিয়ায় গাছ কাটা নিয়ে মুখোমুখি সওজ ও গণপূর্ত
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের অফিস সংলগ্ন প্রায় এক একর বাগানের গাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠানই গাছগুলো তাদের বলে দাবি করছে।সড়ক সার্কেল কুষ্টিয়ার নতুন ভবন নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে বাগানের গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। পরে নির্বাহী বৃক্ষপালনবিদ অপারেশন ডিভিশন রাজশাহী থেকে নিলাম দরপত্রের মাধ্যমে সেখানকার ৭০টি গাছ ১ লাখ ৮১ হাজার ৪০০ টাকায় কিনেছে নওগাঁ এ এম কে ট্রেডার্স। আজ শুক্রবার সকালে তারা সেখানকার গাছগুলো কাটতে গিয়ে গণপূর্তের কর্মচারীদে...
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের অফিস সংলগ্ন প্রায় এক একর বাগানের গাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠানই গাছগুলো তাদের বলে দাবি করছে।
সড়ক সার্কেল কুষ্টিয়ার নতুন ভবন নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে বাগানের গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। পরে নির্বাহী বৃক্ষপালনবিদ অপারেশন ডিভিশন রাজশাহী থেকে নিলাম দরপত্রের মাধ্যমে সেখানকার ৭০টি গাছ ১ লাখ ৮১ হাজার ৪০০ টাকায় কিনেছে নওগাঁ এ এম কে ট্রেডার্স। আজ শুক্রবার সকালে তারা সেখানকার গাছগুলো কাটতে গিয়ে গণপূর্তের কর্মচারীদের বাধার মুখে পড়েন।
গণপূর্তের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে আপাতত গাছ কাটা বন্ধ রাখার দাবি জানান। তারা বলেন, এই গাছ গণপূর্ত রোপণ করেছে। অথচ গাছ কাটার আদেশের একটা অনুলিপিও আমাদের দেওয়া হয়নি। আদালতে বিচার চলমান অবস্থায় এই গাছ কাটা যাবে না।
গণপূর্তের অফিস সহকারী সোহেল রানা বলেন, গণপূর্তের এই জমির রেকর্ড সড়ক ও জনপথের নামেই রয়েছে। রেকর্ড সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এরমধ্যেই গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছে তারা। আমরা বলেছি রোববার সকল অফিস খোলা পর্যন্ত গাছ কাটা বন্ধ রাখতে।
সড়ক ও জনপথের ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট শরিফুল ইসলামও উপস্থিত হন ঘটনাস্থলে। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এই জমির রেকর্ড সড়ক ও জনপথের নামে। মামলার রায়ও আমাদের পক্ষে এসেছে। আর গাছগুলো কাটা হচ্ছে নিলামের মাধ্যমে। এখানে কারও আপত্তি থাকার কথা না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মঞ্জুরুল করিম ডেইলি স্টারকে বলেন, জমি যার, জমির ওপর গাছও তার। এই জমির রেকর্ড সূত্রে মালিক সওজ। জমির খাজনাও দেয় সওজ। তাছাড়া মামলা থাকলেও গাছ না কাটার বিষয়ে নির্দেশনা নেই।
৭০টি গাছের দাম মাত্র ১ লাখ ৮১ হাজার টাকা কম হয়ে গেল কি না, জানতে চাইলে মঞ্জুরুল করিম বলেন, এটা ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে।