ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি সংলগ্ন এলাকায় দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেগম রোকেয়া হলের ২ শিক্ষার্থীসহ ৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আজ বুধবার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এক শিক্ষার্থীর পিঠে আঘাত লেগেছে, বিকট শব্দে আরেকজনের কানে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাদের দ্রুত উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।'

সে সময় ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে ককটেলের আঘাতে আহত হন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম চাকলাদার। 

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অফিস থেকে ফেরার পথে টিএসসি সংলগ্ন এলাকায় একটি ককটেল আমার গায়ে লাগে। পিঠে আঘাত পেয়েছি।'

শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি ককটেল জাতীয় বিস্ফোরক হতে পারে। উদ্ধার করা আলামত পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান নিশ্চিত করবেন।'

তিনি আরও বলেন, 'আলামত দেখে মনে হচ্ছে অল্প গানপাউডার বা এ ধরনের কোনো উপাদান দিয়ে তৈরি ককটেল ছিল।'

আরেক ঘটনায় নিউজ টোয়েন্টিফোরের মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক নাজমুস সাকিবের মোটরসাইকেলের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে তার মোটরসাইকেলের ফুয়েল ট্যাংক ফেটে যায়।

ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী চা বিক্রেতা আব্দুল মান্নান গাজী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রাস্তার বিপরীত দিকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর থেকে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। 

অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উদ্যানের ভেতর থেকে দুটি ককটেল ছোড়া হয়েছিল।

বিস্ফোরণের পরপরই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ।

ঘটনার সময় টিএসসির পায়রা চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহযোগিতায় আয়োজিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনী চলছিল। বিস্ফোরণের শব্দে দর্শকরা আতঙ্কে ছুটোছুটি করে বেরিয়ে আসেন।

ঘটনার পরপরই ঢাবির কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে।