ডাস্টার দিয়ে মাথায় আঘাত করে এক শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত করার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কেশবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটি।

সর্বসম্মতভাবে গতকাল এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। এরপর কমিটির সভাপতি ও জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বরকত উল্লাহ স্বাক্ষরিত বরখাস্তের আদেশ প্রকাশ করা হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমেদ ৯ নভেম্বর শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীকে আঘাত করে পেশাগত আচরণবিধি লঙ্ঘন ও প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তিনি নিয়োগ শর্তাবলির এক, সাত ও নয় নম্বর ধারাও ভঙ্গ করেছেন।

গত সোমবার ওই শিক্ষার্থীকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা পরদিন ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করে, যার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফারুক আহমেদকে প্রথমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়।

ওই দিনই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ফারুক শিক্ষার্থীদের কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করছেন।

এতে আরও দেখা যায়, সামনের বেঞ্চে বসা এক ছাত্রীর মাথায় ডাস্টার দিয়ে বারবার আঘাত করছেন ফারুক, এতে তার মাথা ফেটে রক্ত বের হয়। পরে তিনি টিস্যু পেপার দিয়ে রক্ত মুছে দেন এবং আরেক শিক্ষার্থীকে মেঝে পরিষ্কার করতে বলেন।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, 'প্রধান শিক্ষক আমার মেয়েকে নির্মমভাবে মেরেছেন এবং রক্তাক্ত অবস্থায় রেখে দিয়েছেন। আমি সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই।'