বকেয়া বেতনের দাবিতে ডিইপিজেডের ৪ কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ
তিন মাসের বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে ঢাকা ইপিজেডের ৪টি পোশাক কারখানার শ্রমিক।ডিইপিজেডের সাউথ চায়না ব্লিসিং অ্যান্ড ডাইং ফ্যাক্টরি, গোল্ডটেক্স, গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস ও এ্যাকটর স্পোর্টিং নামে পোশাক কারখানার হাজারো শ্রমিক আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে বিক্ষোভ করে।গোল্ডটেক্স গার্মেন্টসের শ্রমিক আবুল কালাম দ্য ডেইলি স্টারকে মুঠোফোনে বলেন, 'এ্যাকটর, গোল্ডটেক্স ও সাউথ চায়না একই মালিকের প্রতিষ্ঠান। আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বেতন...
তিন মাসের বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে ঢাকা ইপিজেডের ৪টি পোশাক কারখানার শ্রমিক।
ডিইপিজেডের সাউথ চায়না ব্লিসিং অ্যান্ড ডাইং ফ্যাক্টরি, গোল্ডটেক্স, গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস ও এ্যাকটর স্পোর্টিং নামে পোশাক কারখানার হাজারো শ্রমিক আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে বিক্ষোভ করে।
গোল্ডটেক্স গার্মেন্টসের শ্রমিক আবুল কালাম দ্য ডেইলি স্টারকে মুঠোফোনে বলেন, 'এ্যাকটর, গোল্ডটেক্স ও সাউথ চায়না একই মালিকের প্রতিষ্ঠান। আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বেতন বকেয়া রেখে গত ২২ অক্টোবর ৪টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।'
তিনি বলেন, 'কারখানাগুলো খুলে দেওয়া ও বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে আজ আমরা ডিইপিজেড প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেই।'
তিনি অভিযোগ করেন, 'পরবর্তী সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ আমাদের লাঠিচার্জ করে, টিয়ারসেল ও জলকামান নিক্ষেপ করে। আমাদের অনেক শ্রমিক আহত হয়েছেন।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিতে গেলে শ্রমিকরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'এখন মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শ্রমিকরা সড়কের পাশে অবস্থা নিয়েছে।'
শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, 'টিয়ারসেল না, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জালকামান ব্যবহার করা হয়েছে।'
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অর্ডার ক্রাইসিসের কারণে ডিইপিজেডে একই মালিকের ৪টি প্রতিষ্ঠান গত ২৩ তারিখে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৩ হাজার শ্রমিক রয়েছেন।'
তিনি বলেন, 'প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণার পর থেকেই আমরা একাধিকবার মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। মালিকপক্ষ ব্যাংকের সহযোগিতা নিয়ে প্রতিষ্ঠান সচল করার চেষ্টা করছেন।'
'শ্রমিকরা আজ বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে সড়কে নেমেছে। মালিকপক্ষ যদি বেতন পরিশোধ করতে না পারে, তাহলে বেপজা কর্তৃপক্ষ যথাযথ নিয়মে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের উদ্যোগ নেবে। তবে এটা একটু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি,' যোগ করেন তিনি।