বিমানের জন্য এয়ারবাস কেনার পরামর্শ ইউরোপের ৪ রাষ্ট্রদূতের
ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা বলেছেন, বিমানের বর্তমান বহরের পাশাপাশি এয়ারবাস যুক্ত হলে জাতীয় পতাকাবাহী এ সংস্থার প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়বে।আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স-জার্মান দূতাবাসে আয়োজিত 'ইউরোপীয় ডায়ালগ অন বাংলাদেশ অ্যাভিয়েশন গ্রোথ' শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এ কথা বলেন।সভায় চার দেশের রাষ্ট্রদূত ও এয়ারবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের বিমান পরিবহন খাতকে সহায়তা করতে তারা দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মধ্যে থাকবে পা...
ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা বলেছেন, বিমানের বর্তমান বহরের পাশাপাশি এয়ারবাস যুক্ত হলে জাতীয় পতাকাবাহী এ সংস্থার প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়বে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স-জার্মান দূতাবাসে আয়োজিত 'ইউরোপীয় ডায়ালগ অন বাংলাদেশ অ্যাভিয়েশন গ্রোথ' শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এ কথা বলেন।
সভায় চার দেশের রাষ্ট্রদূত ও এয়ারবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের বিমান পরিবহন খাতকে সহায়তা করতে তারা দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মধ্যে থাকবে পাইলট ও প্রকৌশলী প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম এবং শিল্প দক্ষতা স্থানান্তর, যা বিমানের কার্যক্ষমতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
প্রথমবারের মতো চার দেশের রাষ্ট্রদূত ও এয়ারবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একসঙ্গে ঢাকায় বিমানের জন্য এয়ারবাস কেনার প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সেতুবন্ধন হিসেবে কৌশলগত অবস্থান ফ্রান্স ও ইউরোপের সঙ্গে সহযোগিতার নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ঐতিহ্য, দৃষ্টি ও বাংলাদেশের বিমান খাতের জন্য উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে এয়ারবাস একটি বিশ্বাসযোগ্য, টেকসই ও ভবিষ্যতমুখী বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশের বিমান পরিবহন স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে পারি, এয়ারবাসের প্রস্তাব চারটি ইউরোপীয় দেশের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছে, যারা এই বহুজাতিক কোম্পানির অংশ। আমাদের নিজ নিজ এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সিগুলো ইতোমধ্যে এই চুক্তিকে সমর্থন দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ও উদীয়মান মধ্যবিত্ত শ্রেণির কারণে বিমানের আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজের প্রয়োজন, যা এয়ারবাস সরবরাহে সক্ষম।
যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার সারাহ কুক বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক বিমান কেন্দ্র হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য সরকারের অব্যাহত সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব জোরদারের বিষয়টি তুলে ধরেন।