লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা হত্যা: আটক ৩
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা আবুল কালাম জহিরকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান আজ রোববার সন্ধ্যার দিকে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শনিবার রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।আটককৃতরা হলেন সেলিম, ইমন ও আলমগীর। তাদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজ রাত ৮টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে, রাতে মামলা করার জন্য নিহতের পরিবার আসতে চেয়েছ...
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা আবুল কালাম জহিরকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান আজ রোববার সন্ধ্যার দিকে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শনিবার রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন সেলিম, ইমন ও আলমগীর। তাদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজ রাত ৮টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে, রাতে মামলা করার জন্য নিহতের পরিবার আসতে চেয়েছে বলে জানান ওসি।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জে মোস্তফার দোকান এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
আবুল কালাম চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মোস্তফার দোকান এলাকায় সড়কের ওপর আবুল কালামকে কুপিয়ে ও গুলি করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
আবুল কালামের বিরুদ্ধে মাদক চোরাকারবারির অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।
হত্যার ঘটনার পর চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি জানিয়েছিলেন, মরদেহের পাশে গুলির খোসা পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক বলেন, আবুল কালামকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, ছাত্রদল নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় দাপট দেখিয়ে চলাফেরা করেন 'পিচ্চি কাওসার' (২২)। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কাউসারের সঙ্গে নিহত আবুল কালামের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে কাওসার ও তার বাহিনীর লোকজন আবুল কালামকে হত্যা করে থাকতে পারে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল হক বলেন, 'পিচ্চি কাওসারের সঙ্গে নিহত ব্যক্তির বিরোধের বিষয়ে শুনেছি। পিচ্চি কাওসার ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। কিন্তু, নিজেকে ছাত্রদল নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় অপকর্ম করতো। তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ।'