'বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে খুবই পরিষ্কার করে বলতে চাই, প্রধান উপদেষ্টার একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণায় জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়নি।'

আজ বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

তিনি বলেন, 'সাংবিধানিক সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কার নিয়ে যে ৪৮টি প্রস্তাবে আমরা সর্বসম্মত হয়েছি, এগুলো জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে জাতিকে জানাতে হবে—ভোটাররা জানবেন, তার ওপরে মনস্থির হবে, তারপরে হ্যাঁ-না মতামত দেবেন।'

কিন্তু একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে এই প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ভোটারকে আবার একটা প্রতীকেও জাতীয় নির্বাচনের ভোট দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এটা একটা সংকট তৈরি করবে।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের ইতিহাসে কেয়ারটেকার হোক আর যত নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথাই আমরা বলি, প্রত্যেকটি নির্বাচনে কমবেশি কিছু ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা হয়ে থাকে, বিশৃঙ্খলা হয়ে থাকে। দু-চারটা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেল, গোলাগুলি হলো, স্থগিত হয়ে গেল। একই দিনে ভোট হলে এমন ঘটনা যেকোনো কেন্দ্রে হতে পারে। জাতীয় নির্বাচনের প্রতীকের ভোট বন্ধ হলো, কিন্তু গণভোটের দশা কী হবে? এর কোনো জবাব নেই।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা সংকট নিরসনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি ইসলামি এবং দেশপ্রেমিক সমমনা দল দাবি করে আসছি যে, এই ভোটটা জাতীয় নির্বাচনের আগে করতে হবে। তাহলে এটার আইনি ভিত্তিটা দৃঢ় হবে, এটা নিয়ে পরবর্তীতে আদালত ও আইনি ভিত্তি নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না। সেই সংকট কিন্তু রয়েই গেল।'