আওয়ামী লীগকে আর বাংলার মাটিতে ফিরতে দেওয়া হবে না: আখতার
বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই ফিরতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।এ জন্য তার দলের সব নেতা-কর্মীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এনসিপির এই নেতা।আজ বুধবার বিকেলে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নে নির্বাচনী উঠান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।আখতার হোসেন বলেন, 'যারা বাংলাদেশের মানুষের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে, সেই আওয়ামী লীগ আবারও নাশকতা চালাচ্ছে। বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই ফিরতে দেওয়া হবে না।'আসন্ন নির...
বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই ফিরতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
এ জন্য তার দলের সব নেতা-কর্মীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এনসিপির এই নেতা।
আজ বুধবার বিকেলে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নে নির্বাচনী উঠান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, 'যারা বাংলাদেশের মানুষের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে, সেই আওয়ামী লীগ আবারও নাশকতা চালাচ্ছে। বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই ফিরতে দেওয়া হবে না।'
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, 'আমরা আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা ও অবস্থান থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে বাংলাদেশকে নতুন পথে এগিয়ে নিতে হলে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়েও আমরা ওপেন (উন্মুক্ত) রয়েছি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে, যদিও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখিনি। আমরা এককভাবেও নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।'
দলের প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে আখতার বলেন, 'সারা দেশ থেকে এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে চাই যারা জনগণের কথা ভাববে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি টিম গঠন করা হয়েছে, তারা মনোনয়নপত্র বিতরণ করছে। সারা দেশের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ফরম সংগ্রহ করছেন। এরই মধ্যে অনেক যোগ্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। যাচাই-বাছাই শেষে ১৫ নভেম্বরের পর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে।'
গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশটি সঠিকভাবে জারি করা। সরকার কীভাবে এই আদেশ জারি করবে, তাতে কী থাকবে আর কী থাকবে না—সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। যদি সরকার জুলাই সনদের আদেশ যথাযথভাবে জারি করে, তাহলে সংকটের সমাধান সম্ভব এবং এর মাধ্যমেই গণভোটের প্রশ্ন নির্ধারিত হবে।'
তিনি আরও বলেন, গণভোট নির্বাচনের দিনই হোক বা আগে, তাতে তেমন প্রভাব পড়বে না, যদি জুলাই সনদের আদেশ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়। কিন্তু আদেশটি সঠিকভাবে জারি না হলে গণভোটও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে টেকসই করতে পারবে না। আমরা আশা করি, সরকার দ্রুত জুলাই সনদের আদেশ জারি করবে এবং জনগণের পক্ষেই অবস্থান নেবে।'