যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ৩০ বছরের বেশি দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সাজা ভোগ করেছেন, এমন ৩৭ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে কারা অধিদপ্তর। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী দুএক দিনের মধ্যে তা কার্যকর হবে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কমিটি ইতোমধ্যে কয়েদিদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।অধিদপ্তর জানিয়েছে, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা...
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ৩০ বছরের বেশি দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সাজা ভোগ করেছেন, এমন ৩৭ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে কারা অধিদপ্তর। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী দুএক দিনের মধ্যে তা কার্যকর হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কমিটি ইতোমধ্যে কয়েদিদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই ৩৭ জন বন্দির অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারা সবাই রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় সাজা ভোগ করেছেন।
এই বিষয়ে সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, 'যাদের সাজা ছিল ৩০ বছর বা যাবজ্জীবন, তাদের মধ্যে যেসব বন্দি রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছে, তাদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বয়স, আচরণ ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে সরকার তাদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
তিনি জানান, ৩৭ জনকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবশিষ্ট সাজা রয়েছে ছয় থেকে ১০ বছর।
'এদের মধ্যে কোনো নারী বন্দি নেই, যদিও প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তাদের অধিকাংশই হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং দেশের বিভিন্ন কারাগারে সাজা ভোগ করছেন,' বলেন ফরহাদ।