কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে পুলিশ হেফাজতে থাকা এক ছিনতাইকারী পালিয়ে গেছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চমেক হাসপাতালের ষষ্ঠ তলার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

পলাতক ইমাম হোসেন আকাশ (২৪) বন্দর থানা পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।

পুলিশ জানায়, এর আগে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বাইরে ৫ নম্বর গেটের সামনে চীনা নাগরিক লি জিয়াং ফেং-এর ওপর হামলা চালায় তিন ছিনতাইকারী। ছিনতাইকারীরা ফেং-এর হাঁটুতে ছুরিকাঘাত করে তার মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মালামাল ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া করে এক ছিনতাইকারীকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

পরবর্তীতে আহত চীনা নাগরিক ও ছিনতাইকারী আকাশকে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

২৮ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন পুলিশ সদস্যের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন আকাশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আকাশ প্রথমে অসুস্থতার ভান করলেও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং দায়িত্বে থাকা পুলিশদের সঙ্গে গল্প করতে থাকেন। রাতে তার ফুফুও তাকে দেখতে আসেন। এ সময় তার কয়েকজন সহযোগী—যাদের হাতে ছুরি ছিল বলে জানা গেছে—ওয়ার্ডের আশেপাশে অবস্থান করলেও তা পুলিশের চোখ এড়িয়ে যায়।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে আকাশ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'

পুলিশ ধারণা করছে, আকাশ টয়লেটে গিয়ে কোনো পিচ্ছিল পদার্থ বা রাসায়নিক ব্যবহার করে হাতকড়া ঢিলা করে নিয়েছিল। এরপর বাইরে এসে কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। সে সময় অন্য দুই পুলিশ সদস্য কয়েক ফুট দূরে বসে ছিলেন।

এ ঘটনায় হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা আকাশের সহযোগী হিসেবে শনাক্ত তার ফুফু আসমাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

এ ঘটনায় বন্দর থানায় একটি মামলা হয়েছে।